🌊 তালায় গোপালপুর খালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বড় অভিযান
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সহায়তায় জাল ধ্বংস, মাছের প্রজনন ও পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের দৃঢ় অবস্থান
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নোয়াপাড়া বাজার এলাকা ও এর আশেপাশের খালসহ গোপালপুর খালে মঙ্গলবার এক ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসারের কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত এ অভিযানে প্রায় ২০টি স্থায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযান চলাকালে পাওয়া যায় ১০টি চায়না দুয়ারি জাল, একটি বেহুন্দি জাল, বিভিন্ন প্রকার মাছ ধরার অবৈধ সরঞ্জাম ও নেট পাঠা। এসব জাল ও সরঞ্জাম স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
🚫 অবৈধ দখল ও জালের কারণে হুমকিতে দেশীয় মাছ
দীর্ঘদিন ধরে এসব খাল ও জলাশয়ে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে জলপ্রবাহের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ব্যাহত হচ্ছিল। একইসঙ্গে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ও বিচরণ ক্ষেত্র ধ্বংস হচ্ছিল। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে।
👥 অভিযান পরিচালনায় কারা ছিলেন
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার, তালা, সাতক্ষীরা। অভিযানে সক্রিয় সহযোগিতা করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগণ। তাঁরা সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করেন, যাতে অভিযান নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।
📢 স্থানীয়দের সতর্কবার্তা
অভিযান শেষে স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করে বলা হয়, জলাশয়, খাল ও নদীতে কোনো ধরনের অবৈধ দখল বা নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার সহ্য করা হবে না। খালগুলো যেন অবাধে প্রবাহিত হয় এবং দেশীয় মাছের স্বাভাবিক প্রজনন নিশ্চিত হয়—সে জন্য নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হবে।
⚖ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা
অভিযানের অংশ হিসেবে মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হয়। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এ অভিযান স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পরিবেশ সচেতন মানুষ মনে করছেন, এ উদ্যোগের মাধ্যমে খালগুলো আবারো প্রাণ ফিরে পাবে, এবং দেশীয় মাছের উৎপাদন বাড়বে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস